বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী ।বাংলাদেশ হারাল এক গর্বের সন্তান
বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী
বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী
বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী আর নেই — কোরআনের আলো নিভে গেল খুব তাড়াতাড়ি
ওসময় ডেস্ক:
বাংলাদেশ আজ শোকের সাগরে। বিশ্বজয়ী তরুণ হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী আর নেই। মাত্র ২০ বছর বয়সে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এই কোরআনপ্রেমী তরুণ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ত্বকী ছিলেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন আল্লাহভক্ত ও কোরআনের প্রতি গভীর ভালোবাসায় ভরা। তাঁর পিতা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, যিনি ছেলেকে ধর্মচর্চার পথে এগিয়ে নিতে শুরু থেকেই প্রেরণা দিয়েছেন। বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী

অত্যন্ত অল্প বয়সেই ত্বকী কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করেন। এরপরই শুরু হয় তাঁর আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান। জর্ডান, কুয়েত, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন গর্বের সঙ্গে। তাঁর তিলাওয়াতের সুর ছিল শান্ত, গভীর, এবং হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া। অনেক বিদেশি বিচারকই বলেছিলেন “এই তরুণের কণ্ঠে কোরআনের সৌন্দর্য নতুনভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠে।” বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী
দেশে ফিরে ত্বকী দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর তিলাওয়াতের ভিডিও লক্ষাধিক মানুষ দেখেছে ও শেয়ার করেছে। অনেকেই তাঁকে ডাকতেন “কোরআনের রাজপুত্র ত্বকী” নামে। তাঁর প্রতিটি তিলাওয়াতে ছিল শ্রদ্ধা, মমতা, আর একধরনের আত্মিক প্রশান্তি যা মানুষকে আল্লাহর কাছে আরও টেনে নিত।
আরো পরুন ……
-
সেরা ডিভোর্স আইনজীবী ঢাকা । রংপুরে সস্তায় ডিভোর্স লয়ার”
-
পি আর পদ্ধতি নির্বাচন কী। কিভাবে হয়, এবং কিভাবে নির্বাচিত হয়? (বাংলা বিশ্লেষণ)
কিন্তু হঠাৎ করেই সেই আলোকিত পথ থেমে গেল। কয়েকদিনের জ্বর, তার পরই ডেঙ্গু শনাক্ত। পরিবার ও ভক্তরা দিনরাত দোয়া করছিলেন তাঁর সুস্থতার জন্য, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ফিরে আসেননি তিনি। ত্বকীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেমে আসে শোকের ঢল। দেশের আলেম সমাজ, ছাত্র-শিক্ষক, এমনকি সাধারণ মানুষও কেঁদে ফেলেছেন তাঁর জন্য। বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী
ত্বকীর পিতা মাওলানা বদিউল আলম আবেগভরা কণ্ঠে বলেছেন,
“আমার ত্বকী দুনিয়ার বড়ত্ব চায়নি। সে শুধু চেয়েছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি আর কোরআনের সেবা করতে।”
এই কথাগুলো যেন পুরো জাতির হৃদয়ে গেঁথে গেছে। কারণ ত্বকী শুধু একজন হাফেজ ছিলেন না; তিনি ছিলেন এক অনুপ্রেরণা, এক আলোকিত আত্মা, যিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বয়স নয়, নিয়ত আর ভালোবাসাই মানুষকে মহৎ করে তোলে।
আজ তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হবে না। মসজিদে, মাদ্রাসায়, এমনকি ঘরের ছোট পর্দাতেও এখন তাঁর তিলাওয়াত বাজছে। মানুষ শুনছে, কাঁদছে, আর প্রার্থনা করছে । বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী
“আল্লাহ, আমাদের ত্বকীকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন।”
ত্বকী চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর কণ্ঠে কোরআনের সুর থাকবে যুগের পর যুগ। বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী
যে ছেলে একদিন পুরো বাংলাদেশকে গর্বিত করেছিল, আজ সে রেখে গেছে এক অমূল্য বার্তা —
আল্লাহর বাণী ভালোবাসলে জীবন কখনো বৃথা যায় না।
শেষ কথা
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মতো তরুণরা দেখিয়ে দেন, আল্লাহর বাণী ভালোবাসলে সাফল্যের সীমা থাকে না।
তিনি হয়তো আর ফিরে আসবেন না, কিন্তু তাঁর তিলাওয়াত, তাঁর হাসি, তাঁর নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন থাকবে। বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী







