
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন : খয় ক্ষতির পরিমান । ক্ষতি পুরন কিভাবে পাবে
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন
১৮ অক্টোবর ২০২৫) দুপুর ২:৩০ পিএম–এর দিকে বিমানবন্দরের কার্গো জোন, গেট নম্বর ৮ এর কাছে আগুন ধরে যায়। আগুনের খবর পেয়ে অনুমানিতভাবে ৩৭টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, সঙ্গে বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, আনসার ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। আগুনের কারণে বিমানবন্দরের সব ধরনের উৎক্ষেপণ ও অবতরণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। রাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং রাত প্রায় ৯টা নাগাদ বিমানবন্দরের কার্যক্রম ধীরে ধীরে শুরু হয়। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন
কোনো প্রাণহানি হয়েছে কি না
এখনও গুরুতর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল ও আনসার-বাহিনীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, আনসার সদস্যদের মধ্যে আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন ।
আরো পরুন ………
IMF প্রবাসীদের আয়ের ওপর কর বসাতে চায়? জানুন পুরো প্রস্তাব ও সরকারের প্রতিক্রিয়া |
পি আর পদ্ধতি নির্বাচন কী। কিভাবে হয়, এবং কিভাবে নির্বাচিত হয়? (বাংলা বিশ্লেষণ |
সম্ভাব্য কারণ ও পরবর্তী পদক্ষেপ
-
আগুনের উৎস এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি — একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে কারণ নির্ধারণ এবং দায়িত্বশীলতা খতিয়ে দেখার জন্য।
-
আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে — কার্গো এলাকায় সংরক্ষিত রাসায়নিক বা অন্যান্য দ্রুত জ্বলা পদার্থ, বাতাসের গতিপ্রবাহ ইত্যাদি।
প্রভাব
-
কার্গো কার্যক্রমের বাধা পড়েছে — আমদানি/রফতানিতে ক্ষতি হতে পারে।
-
আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কয়েকটি ফ্লাইট বিকল্প এয়ারপোর্টে পরিচালিত হয়েছে বা বাতিল হয়েছে
খয় ক্ষতির পরিমান
একটি সংবাদে বলা হয়েছে যে, একের একটি সি & এফ এজেন্টের আমদানি করা পণ্য যা প্রায় U$ 40,000–র সমমূল্যে ছিল, সম্পূর্ণ পুড়েছে। অন্য একটি সি & এফ এজেন্ট বলেছে — ফোনের স্পেয়ার পার্টস ও আন্যান্য পণ্য মিলিয়ে প্রায় ৳১০০ কোটি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
সমগ্র আমদানি ও রফতানিতে আগুন–এর সরাসরি ও পারোক্ষ প্রভাব সহ একমাত্র সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ US$ 1 বিলিয়ন (বাংলাদেশি মুদ্রায় অনেক কোটি টাকা) অতিক্রম করতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। আরেকটি উৎসে বলা হয়েছে, আগুনের কারণে প্রায় ৳১২,২১৪ কোটি (১২ হাজার কোটি টাকা) বা তারও বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন
৳১২,২১৪ কোটি” এই হিসাবই নিশ্চিত নয় — এটি অনুমানভিত্তিক এবং ব্যতিক্রমী সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি যাতে বলা যায় ঠিক এই পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতির মধ্যে রয়েছে: পুড়ে যাওয়া আমদানিকৃত পণ্য, রফতানি ব্যাহত হওয়া, বিমানবন্দর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পারোক্ষ ক্ষতি, বিলম্ব, বিমানের কার্গো রাউট পরিবর্তন ইত্যাদি — তাই সম্পূর্ণ ক্ষতির পরিমাণ মাপা কঠিন।
ক্ষতিগ্রস্ত সকল কার্গো বা আমদানিকারক এখনো তাদের দাবি সম্পূর্ণ চিহ্নিত করতে পারেনি — বহিরাগত প্রকৌশল/আপেক্ষিক মূল্যায়ন এখনো চলছে।
আপনার জন্য কি তথ্য রয়েছে যা কাজে লাগতে পারে
-
যদি আপনি নিজের আমদানিকৃত মাল বা কার্গো সংক্রান্ত ক্ষতির হিসাব জানার চেষ্টা করছেন, তাহলে আপনার কাছে থাকা বিল, চালান (invoice), লোডিং বিবরণী, কার্গো ক্রিয়ারেশন ডকুমেন্ট, বিমানের এসএমএস (AWB) নম্বর ইত্যাদি একসাথে রাখা ভালো।
-
জানতে হবে: আপনার মালটি কার্গো ভিলেজ-এর কোন সেকশনে ছিল, সেটি আসলে পুড়েছে কিনা (ক্লিয়ারেন্স প্রায় হয়েছিল কি না), বিমানের বিভ্রান্তি বা দেরি হয়েছে কি না — এসব তথ্য ভবিষ্যতে বিমা বা ক্ষতিপূরণের দাবিতে কাজে লাগবে।
-
এসব ক্ষতির ক্ষেত্রে সাধারণভাবে বিমা, সিএফ এজেন্টের দাবী, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দায় ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন
সাধারণ মানুষ কিভা
বে ক্ষতি পুরন পাবে
ক্ষতির প্রমাণ সংগ্রহ
আগুনের ঘটনায় কার্গো ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রথমেই যা করবেন:
-
Air Waybill (AWB) বা Bill of Lading (BL) নম্বর খুঁজে বের করুন
-
Invoice, Packing list, Import permit ইত্যাদি নথি একত্রে রাখুন
-
ছবি বা ভিডিও প্রমাণ থাকলে (যেমন: কার্গো ভিলেজে রাখা মাল, ফায়ার সার্ভিসের ছবি, ডেলিভারির আগের অবস্থা ইত্যাদি) — সেগুলো সংরক্ষণ করুন
-
যদি সম্ভব হয়, শিপিং এজেন্ট বা কনসাইনমেন্ট রিসিপ্ট থেকে লিখিত ক্ষতির নোট সংগ্রহ করুন
কর্তৃপক্ষকে জানান
যাদের কাছে রিপোর্ট করতে হবে:
সংস্থা | যোগাযোগের ধরন | উদ্দেশ্য |
---|---|---|
CAAB (Civil Aviation Authority of Bangladesh) | লিখিত অভিযোগ (কার্গো ভিলেজ অফিসে) | বিমানবন্দর এলাকায় আগুনে ক্ষতি স্বীকারের রেকর্ড রাখা |
Airlines Cargo Office (যে এয়ারলাইন্সে মাল এসেছে) | অফিসিয়াল লেটার + AWB কপি | কার্গো ক্ষতির নথিভুক্তি |
C&F এজেন্ট বা ফরওয়ার্ডার কোম্পানি | লিখিত ক্লেম | তারা বিমা কোম্পানি বা কাস্টমসে রিপোর্ট দেয় |
Customs Authority (Airport Customs Bond) | Application for Damage Certificate | এই সার্টিফিকেট ছাড়া বিমা ক্লেম করা যাবে না |
বিমা দাবি (Insurance Claim)
যদি আপনার পণ্য বিমা করা থাকে (যেমন: Marine Cargo Insurance বা Air Cargo Insurance), তাহলে নিচের প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন: হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
-
Policy number বা Insurance certificate
-
Air Waybill (AWB)
-
Commercial invoice
-
Packing list
-
Damage certificate (from customs)
-
Survey report (if issued by insurance surveyor)
-
Fire report (from fire service or CAAB)
প্রক্রিয়া:
-
বিমা কোম্পানিকে ৩–৭ দিনের মধ্যে “Notice of Loss” পাঠান
-
তারা Surveyor পাঠাবে, যারা ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবে
-
রিপোর্টের ভিত্তিতে কোম্পানি Claim settlement করে — সাধারণত ৩০–৬০ দিনের মধ্যে
ক্ষতি বিমাহীন হলে করণীয়
যদি বিমা না থাকে — তাহলে কিছু করণীয়:
-
CAAB ও কাস্টমসে আবেদন করুন “Accidental Fire Damage” হিসেবে ক্ষতিপূরণের অনুরোধে
-
Airlines-এর সাথে যোগাযোগ করুন যদি তাদের অবহেলা থাকে (যেমন: নিরাপত্তা ব্যর্থতা, সংরক্ষণ ত্রুটি)
-
বাংলাদেশ কার্গো হ্যান্ডলার্স অ্যাসোসিয়েশন (BCHA)-এর সহায়তা নিতে পারেন, তারা সম্মিলিতভাবে ক্ষতিপূরণে সহায়তা করে থাকে
ভবিষ্যতের জন্য পরামর্শ
-
পরবর্তী চালান পাঠানোর আগে সবসময় “All Risk Cargo Insurance” করুন
-
Fire-proof warehouse বা “priority zone”-এ পণ্য রাখার জন্য অনুরোধ করুন
-
CAAB-এর আপডেট বা ঘোষণা নিয়মিত দেখুন:
🔗 https://caab.gov.bd
Tag :
bangladesh dhaka airport fire
Blaze guts cargo village at Dhaka airport
HSIA fire fully under control, flight resumes from 9 pm