সুদানের বর্তমান অবস্থা
সুদানের বিস্মৃত সংকট: একটি মানবিক বিপর্যয়ের গল্প
আফ্রিকার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সুদান এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ এখন তৃতীয় বছরে পা রেখেছে, কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এই ট্র্যাজেডি সম্পর্কে অবগত নন। হোদা আলি মোহাম্মদ, একজন ৩২ বছর বয়সী মা, তার চার সন্তান নিয়ে উত্তর দারফুরের তাভিলা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। তার পরিবার শুধু একটি পরিসংখ্যান নয় – তারা লাখো সুদানিদের প্রতিনিধিত্ব করে যারা তাদের স্বপ্ন, বাড়ি এবং জীবিকা হারিয়ে ফেলেছে।
যুদ্ধটা কীভাবে শুরু হলো?
১৫ এপ্রিল, ২০২৩ সালে সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (SAF) এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF) নামক আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। যা ক্ষমতার লড়াই হিসেবে শুরু হয়েছিল, তা দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে পরিণত হয় যা পুরো দেশকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। SAF পূর্ব, কেন্দ্রীয় এবং উত্তর অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে, যখন RSF পশ্চিমা দারফুর অঞ্চল এবং কর্ডোফানের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নিয়েছে।
RSF-এর শিকড় জঞ্জাবিদ নামক কুখ্যাত মিলিশিয়ায়, যারা ২০০০-এর দশকে দারফুর সংঘাতের সময় গণহত্যা চালিয়েছিল। তারা আবারও একই এলাকায় ভয়ঙ্কর অত্যাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত।
মানবিক বিপর্যয়ের আসল চেহারা
সংখ্যাগুলো নিজেই ভয়ঙ্কর, কিন্তু এর পেছনে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি লুকিয়ে আছে। জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত অন্তত ৩,৩৮৪ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সুদানের বর্তমান অবস্থা
১.২ কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে – কল্পনা করুন পুরো বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশ! তারা এখন শরণার্থী শিবিরে অথবা মরুভূমির মাঝে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে।
ক্ষুধার যন্ত্রণা
২.৪৬ কোটি মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি। আরও ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, ৬,৩৫,০০০ মানুষ দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে বাস করছে – বিশ্বের বাকি সব দেশের চেয়ে বেশি। যে মানুষগুলো এল-ফাশের শহরে আটকা পড়েছিল, তারা টিকে থাকার জন্য আম্বাজ নামক পশুখাদ্য খেতে বাধ্য হয়েছিল – তিল, বাদাম এবং সূর্যমুখীর তেল নিষ্কাশনের পর যে অবশিষ্টাংশ থাকে সেটাই তাদের একমাত্র খাবার ছিল। সুদানের বর্তমান অবস্থা
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়েটিজাজ ইউসুফ স্পষ্টভাবে বলেন, “এই সংকট সম্পূর্ণভাবে মানবসৃষ্ট।” যুদ্ধ শুধু জীবিকা ধ্বংস করেনি, বরং জীবন রক্ষাকারী সাহায্য যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। সুদানের বর্তমান অবস্থা
নারী ও শিশুদের অবর্ণনীয় ভোগান্তি
যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে নারী এবং শিশুদের ওপর। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার পতনের কারণে নতুন মায়েরা জীবনের ঝুঁকিতে আছেন, কারণ প্রয়োজনীয় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বেড়েই চলেছে। ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা, যৌন শোষণ, নির্যাতন এবং পাচারের খবর ব্যাপক। অর্থনৈতিক কষ্ট অগণিত নারীকে তাদের জীবিকা থেকে বঞ্চিত করেছে, অনেককে মরিয়া এবং শোষণমূলক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। ইউনিসেফের মতে, এল-ফাশেরে আটকা পড়া ২,৬০,০০০ বেসামরিক মানুষের মধ্যে ১,৩০,০০০ শিশু, যা শহরটিকে “শিশু যন্ত্রণার কেন্দ্রবিন্দু” বানিয়েছে। সুদানের বর্তমান অবস্থা
এল-ফাশেরের ভয়াবহতা
অক্টোবর ২০২৫-এ RSF এল-ফাশের শহর দখল করার পর যা ঘটেছে, তা সত্যিই হৃদয়বিদারক। দেড় বছর অবরোধের পর শহরটি পতনের সময় অন্তত ১,৫০০ থেকে ২,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে সুডান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে। তারা এটিকে “সত্যিকারের গণহত্যা” বলে অভিহিত করেছে।
ইয়েল হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে – মানুষের মৃতদেহ এবং রক্তের চিহ্ন সনাক্ত করা হয়েছে যা আক্রমণের আগে ছিল না। জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস বলেছে যে RSF-এর কর্মকাণ্ডে সারাংশ মৃত্যুদণ্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের জন্য জাতিগত অনুপ্রেরণার ইঙ্গিত রয়েছে।
২৬,০০০ এরও বেশি মানুষ মাত্র দুই দিনে এল-ফাশের থেকে পালিয়েছে, বেশিরভাগ পায়ে হেঁটে ৭০ কিলোমিটার দূরে তাভিলার দিকে। কিন্তু ১,৭৭,০০০ বেসামরিক মানুষ এখনও শহরে আটকা পড়ে আছে।
স্বাস্থ্য সংকট
যুদ্ধের পাশাপাশি রোগও মানুষকে হত্যা করছে। সুদান বছরের সবচেয়ে খারাপ কলেরা প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি কারণ দেশের অবকাঠামো যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে। রাজধানীর একটি এলাকায় গত এক মাসে ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড এবং ডেঙ্গু জ্বরের ৫,০০০-এর বেশি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, এবং এতে কয়েক ডজন মৃত্যু হয়েছে।
মানবিক কর্মীরাও নিরাপদ নন। জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন মানবিক এবং স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে লক্ষ্যবস্তুকৃত আক্রমণও রয়েছে। অন্তত সাতজন সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মী নিহত হয়েছেন। সুদানের বর্তমান অবস্থা
বিশ্ব কেন চুপ?
জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, “সুদানের সংঘাত একটি বিস্মৃত সংঘাত, এবং আমি আশা করি আমার অফিসের রিপোর্ট এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে স্পটলাইট ফেলবে যেখানে যুদ্ধাপরাধসহ নৃশংস অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।”
যখন ইউক্রেন এবং গাজায় যুদ্ধ বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম দখল করে আছে, সুদানের সংকট মূলত উপেক্ষিত। তবে এটি সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় – এটি শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের গল্প যারা এই মুহূর্তে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
শান্তির জন্য প্রচেষ্টা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং সৌদি আরব – একসাথে “কোয়াড” নামে পরিচিত – শান্তি আলোচনার জন্য কাজ করছে। তারা তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে যাতে দ্রুত সাহায্য সরবরাহ করা যায়, তারপর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি হবে। তারা নয় মাসের একটি রূপান্তর প্রক্রিয়া প্রস্তাব করেছে যা একটি স্বাধীন, বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে যাবে।
তবে অগ্রগতি ধীর। উভয় যুদ্ধরত পক্ষের এবং প্রধান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান কঠোর হয়ে গেছে, যা অর্থবহ সাফল্যকে দূরবর্তী করে তুলেছে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
১. সুদানের যুদ্ধ কখন শুরু হয়? ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ সালে সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (SAF) এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)-এর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এটি এখন তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে।
২. কতজন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? ২.৫ কোটির বেশি মানুষ জরুরি সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। ১.২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ২.৪৬ কোটি মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি।
৩. সুদানের রাজধানী কী এবং সেখানে এখন কী অবস্থা? সুদানের রাজধানী খার্তুম। বর্তমানে শহরটি SAF এবং RSF-এর মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু। অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং বেশিরভাগ বাসিন্দা পালিয়ে গেছে বা আটকা পড়েছে।
৪. দুর্ভিক্ষ কেন ঘটছে? যুদ্ধ কৃষি কাজ ধ্বংস করেছে, সরবরাহ রুট বন্ধ করে দিয়েছে এবং খাদ্য সাহায্য যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। খাদ্যের দাম আকাশচুম্বী এবং সরবরাহ ভেঙে পড়েছে।
৫. সুদানের জনসংখ্যা কত এবং কত শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত? সুদানের জনসংখ্যা প্রায় ৪.৮ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ৫২% মানুষ মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন, যা একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি নির্দেশ করে। সুদানের বর্তমান অবস্থা
৬. সুদানের মানুষদের সাহায্য করার জন্য কী করা যেতে পারে? আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো যেমন ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি, রেড ক্রস, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এবং ইউনিসেফের মাধ্যমে সাহায্য করা যেতে পারে। সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সরকারগুলোকে চাপ দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
৭. সুদান কোন মহাদেশে অবস্থিত এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো কী? সুদান আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এর প্রতিবেশী দেশগুলো হলো মিশর, লিবিয়া, চাদ, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়া। এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা প্রতিবেশী দেশগুলোতেও প্রভাব ফেলছে।
৮. RSF এবং SAF কারা এবং তাদের মধ্যে যুদ্ধের কারণ কী? SAF হলো সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী, যখন RSF একটি আধা-সামরিক বাহিনী যার শিকড় জঞ্জাবিদ মিলিশিয়ায়। তাদের মধ্যে যুদ্ধের মূল কারণ ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং সরকার গঠনে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ।
৯. এল-ফাশের কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? এল-ফাশের উত্তর দারফুরের রাজধানী এবং কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানবিক সাহায্যের কেন্দ্র ছিল এবং লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল। RSF-এর দখলের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
১০. এই সংকটের সমাধান কী এবং কবে শান্তি আসবে? একমাত্র দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হলো শান্তি আলোচনা এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। “কোয়াড” (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, UAE, মিশর, সৌদি আরব) মধ্যস্থতা করছে, তবে কবে শান্তি আসবে তা অনিশ্চিত। তাৎক্ষণিকভাবে, মানবিক সাহায্যের জন্য অবাধ প্রবেশাধিকার এবং বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
আশার আলো
এই অন্ধকারের মধ্যেও, কিছু আশার গল্প আছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের সম্প্রদায়ের সাহায্য করছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অসাধ্য পরিস্থিতিতেও খাদ্য, চিকিৎসা সেবা এবং আশ্রয় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। হোদা আলি মোহাম্মদের মতো মায়েরা তাদের সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখছে এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে।
তবে তাদের আরও সাহায্য প্রয়োজন। বিশ্বের মনোযোগ, সম্পদ এবং কূটনৈতিক চাপ প্রয়োজন। সুদান ভুলে যাওয়া যুদ্ধ হতে পারে না যখন লক্ষ লক্ষ জীবন ঝুলছে। সুদানের বর্তমান অবস্থা
উপসংহার
সুদানের মানবিক সংকট আমাদের সময়ের সবচেয়ে জরুরি চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। প্রতিদিন, মানুষ মারা যাচ্ছে – ক্ষুধা, রোগ এবং সহিংসতা থেকে। প্রতিদিন, পরিবারগুলো আলাদা হচ্ছে এবং শিশুরা তাদের শৈশব হারাচ্ছে। প্রতিদিন, যুদ্ধ চলতে থাকে।
তবে প্রতিদিন, আমাদের কাছে পরিবর্তন করার সুযোগও আছে। আমরা সচেতনতা তৈরি করতে পারি, দাতব্য সংস্থাকে সমর্থন করতে পারি এবং আমাদের নেতাদের কাছে দাবি করতে পারি যে তারা পদক্ষেপ নিক। সুদানের মানুষ তাদের মর্যাদা, তাদের অধিকার এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রাপ্য। তাদের বিস্মৃত হওয়া উচিত নয়।
যেমন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “পক্ষগুলোকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে হবে এবং সংঘাতের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।” আর আমাদের সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে যে বিশ্ব শুনছে এবং সাহায্যের জন্য প্রস্তুত।
সুদানের মানুষ – হোদা আলি মোহাম্মদ, তার চার সন্তান এবং লক্ষ লক্ষ অন্যরা – আমাদের সংহতি, আমাদের সমর্থন এবং আমাদের পদক্ষেপের দাবি করে। তাদের গল্পগুলো বলা দরকার, তাদের কষ্টগুলো স্বীকার করা দরকার এবং তাদের অধিকারগুলো রক্ষা করা দরকার। আসুন নিশ্চিত করি যে সুদান বিস্মৃত সংকট থাকবে না।




